সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- প্লেগ রোগের সংক্রমনের সম্ভাবনায় লেখক ও তার সহযাত্রীদের যে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, ‘সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার’ অবলম্বনে তার পরিচয় দাও। (৫)
উত্তর- স্বামী বিবেকানন্দের ‘সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার’ শীর্ষক প্রবন্ধে প্লেগ রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনায় লেখক ও তার সহযাত্রীদের যে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
যেসময় লেখকদের জাহাজ সুয়েজখালে পৌঁছায় তখন মিশরে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। প্লেগ একটি সংক্রামক রোগ। এই জাহাজ ইউরোপে পৌঁছবে, তাই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল। জাহাজের যাত্রীদের সুয়েজ বন্দরে নামতে বারণ করা হয়েছিল, তেমনি সুয়েজ বন্দরের কোন কর্মীও ছোয়াছুঁয়ির ভয়ে জাহাজে উঠতে পারছিল না।
জাহাজে বেশ কিছু মালপত্র ছিল যেগুলো সুয়েজ বন্দরে নামানোর ছিল। সুয়েজ বন্দরের কুলি যেহেতু জাহাজে উঠতে পারবেনা তাই জাহাজের খালাসিরাই অপটু হাতে ধীরগতিতে মালপত্র নামাচ্ছিল। সারাদিন ধরে পণ্যসামগ্রী নামিয়ে রাত্রে হয়তো জাহাজটি সুয়েজ বন্দর ছেড়ে রওনা দিতে পারতো কিন্তু সেক্ষত্রেও সুয়েজের কোনো কর্মীকে জাহাজে উঠে সামনে আলোর ব্যবস্থা করে দিতে হতো। কিন্তু সেটা যেহেতু সম্ভব নয় তাই নিরুপায় হয়ে লেখকদের চব্বিশ ঘন্টা জাহাজেই আটকে থাকতে হয়েছিল।