আইয়াপ্পা পানিকরের শিক্ষার সার্কাস
Descriptive type question from Shikshar Cirsus by Aiyappa Panikar, WBCHSE Class XI Bengali Poem.
প্রশ্ন- “শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো ৷ [৫]
অথবা, “সব শিক্ষা একটি সার্কাস”- ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতা অবলম্বনে শিক্ষা সার্কাসের সঙ্গে কীভাবে তুলনীয় আলোচনা কর৷ [৫] (এই প্রশ্নের উত্তরে শেষের এই বাক্যটি বাদ যাবে- “আর এই প্রেক্ষিতে কবিতার নামকরণটি বিশেষ ব্যঞ্জনাবাহী হয়ে উঠেছে।” )
উত্তর– মালায়ালাম ভাষার স্বনামধন্য কবি আইয়াপ্পা পানিকরের একটি অনবদ্য কবিতা হলো ‘শিক্ষার সার্কাস’। কবিতার এই নামকরণ থেকে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে এটাই অনুমান করা যেতে পারে যে কবি কোনোভাবে শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করতে চেয়েছেন। মূল কবিতাটি পাঠ করলে কবির অভিপ্রায় আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
শিক্ষা হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন নবীন শিক্ষার্থী তার পূর্বসূরীদের আয়ত্ত করা জ্ঞান আহরণ করতে পারে। কিছু প্রচলিত এবং কিছু অপ্রচলিত মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী শিখতে থাকে এবং সারাজীবন ধরেই সে কিছু না কিছু শেখে। কবি এখানে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার অর্থাৎ বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থা হল পরীক্ষাসর্বস্ব। এখানে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান পরিমাপ করা হয় বৎসরান্তে একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষায় পাশ করলেই যেহেতু একজন শিক্ষার্থী পরের শ্রেণীতে উন্নীত হতে পারে, তাই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়াটাই ছাত্রছাত্রীদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠে, জ্ঞানার্জন হয়ে ওঠে গৌণ বিষয়। এইভাবে একের পর এক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর যখন সব শিক্ষা শেষ হয়ে যায় তারপরও দেখা যায় একজন শিক্ষার্থীর লব্ধ জ্ঞান শূন্য। কবি এই শিক্ষাব্যবস্থাটাকেই সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করতে চেয়েছেন।
সার্কাসের একজন জোকার যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে উপরে উঠে, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী তেমনি ক্রমশ উচ্চতর শ্রেণীতে উন্নীত হয়। আর এই প্রেক্ষিতে কবিতার নামকরণটি বিশেষ ব্যঞ্জনাবাহী হয়ে উঠেছে।