ঋত্বিক ঘটকের সিনেমা

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস|| Bangla Chalacchitrer Itihas

WBCHSE Class 12 (Twelve) Bengali- Bangla Chalacchitrer Itihas Long Question || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস- বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন। প্রশ্নের বিষয়- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অবদান।

প্রশ্ন- বাংলা সিনেমার ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা করো। 

বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটক

উত্তর– বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সঙ্গে একবাক্যে যার নাম উচ্চারিত হয় তিনি ঋত্বিক ঘটক (১৯২৫-৭৬)। তাঁর সিনেমাগুলি একই সাথে বহুল চর্চিত ও সমালোচিত। 

অবদান

বাংলা সিনেমায় যোগদানের আগে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫১ সালে ‘ছিন্নমূল’ সিনেমায় তিনি একইসঙ্গে অভিনয় এবং সহকারী পরিচালকের ভুমিকা পালন করেন। তাঁর একক পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘নাগরিক’ মুক্তি পায় ১৯৫২ সালে।  এরপর ১৯৫৮ সালে ‘অযান্ত্রিক’ এবং ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ছবিদুটিও দর্শকদের নজর কেড়েছিল। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ তাঁর অন্যতম সেরা চলচিত্র।

‘কোমলগান্ধার’ (১৯৬১) এবং ‘সুবর্নরেখা’ (১৯৬২) ছবিদুটি সাফল্য না পাওয়ায় এক দশক কোনো সিনেমা তৈরি করেননি। ১৯৭৩ সালে অদ্বৈত মল্লবর্মনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করেন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমাটি। তাঁর আরেকটি সাড়াজাগানো সিনেমা ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’(১৯৭৭)। পরিচালনা ছাড়াও তিনি অনেকগুলি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন অনেক ছবির। এছাড়া বেশকিছু তথ্যচিত্র ও শর্টফিল্ম বানিয়েছেন যেমন- The life of the Adibasis, Fear, আমার লেনিন, পুরুলিয়ার ছৌ ইত্যাদি। 

অনন্যতা- ঋত্বিক ঘটকের চলচিত্র-ভাবনায়-

(১) শিল্পবোধের পরিচয় পাওয়া যায়,

(২) স্বাধীনতা-উত্তর উদবাস্তু সমস্যার ছবি ফুটে ওঠে , 

(৩) ভারতীয় চলচিত্রের গতানুগতিক ধারার বিপরীতে যাবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

সন্মান ও পুরস্কার

ঋত্বিক ঘটক ১৯৬৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ১৯৭৫ সালে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পান।

এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নঃ 

error: Content is protected !!