আটলান্টিস-এর পরিচয় দাও

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন

কবি- ব্রেটল্ট ব্রেখট

অনুবাদ- শঙ্খ ঘোষ

প্রশ্ন – “এমন কি উপকথার আটলান্টিস” – আটলান্টিস এর পরিচয় দাও। আটলান্টিস সম্পর্কে কবি কি বলেছেন ।

উত্তর- বের্টল্ট ব্রেখটের ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতায় ‘আটলান্টিস’ নামক একটি কাল্পনিক নগরীর উল্লেখ রয়েছে। একসময় নাকি আটলান্টিক মহাসাগরের ঠিক মাঝখানে এক বৃহৎ দ্বীপ ছিল যার নাম আটলান্টিস।

আটলান্টিস
কল্পিত আটলান্টিস নগরী

গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর ‘The state’ গ্রন্থে আটলান্টিস দ্বীপের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা হল- আয়তনে লিবিয়া এবং এশিয়া মাইনরের চেয়ে বড়ো ছিল আটলান্টিস দ্বীপটি। এর অবস্থান ছিল হারকিউলাসের স্তম্ভের কাছাকাছি। প্রাচ্যের দেশগুলিতে যেতে হলে নৌ-অভিযাত্রীদের আটলান্টিস পার হয়ে যেতে হত। এই সভ্যতাটি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত ছিল। ৯০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভয়ংকর ভূমিকম্প ও বন্যার ফলে রাতারাতি এই দ্বীপটি সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল। যাইহোক, পরবর্তীকালের অনেক কল্পকাহিনিতে আটলান্টিস দ্বীপের কথা উঠে এসেছে।

আটলান্টিস সভ্যতা ছিল ক্রীতদাস নির্ভর- কবি এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন। ‘Atlantis-The Lost Continent’  গ্রন্থেও আটলান্টিস নগরীতে ক্রীতদাসদের পরিচয় পাওয়া যায়। চারিদিক সমুদ্রবেষ্টিত এই দ্বীপপুঞ্জে ক্রীতদাসরাই ছিল চালিকা শক্তি। আটলান্টিস সভ্যতাকে যারা উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গিয়েছিল যারা, তারা যে চরম অবহেলার শিকার ছিল সেকথা নিঃসন্দেহে বলা যায় কারণ তারা ছিল ‘ক্রিতদাস’, অর্থাৎ কেনা গোলাম। সেই জন্য কবি মন্তব্য করেছেন যে, যে রাতে আটলান্টিস ডুবেছিল মহাসাগরের বুকে সেই রাতে ক্রীতদাসদের জন্য চিৎকার উঠেছিল।

error: Content is protected !!