৩) কৌতুকরস পরিবেশনে কবি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। কাব্যের নানা স্থানে কবির কৌতুকবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
৪) চণ্ডীমঙ্গলের প্রচলিত কাহিনি অবলম্বনে কাব্য রচনা করলেও কাহিনি-বিন্যাসে কবি স্বকীয়তা দেখিয়েছেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি কেবল সুপাঠ্য মঙ্গলকাব্য হিসাবে নয় সমগ্র মধ্যযুগের একটি ব্যতিক্রমী কাব্য- উপন্যাসের লক্ষণ যুক্ত একটি উৎকৃষ্ট কাব্য। সেদিক থেকে বিচার করলে, মুকুন্দ চক্রবর্তী মধ্যযুগের একজন অন্যতম প্রতিভাবান কবি।