বাংলা চলচ্চিত্রে মৃণাল সেন

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস|| Bangla Chalacchitrer Itihas

WBCHSE Class 12 (Twelve) Bengali- Bangla Chalacchitrer Itihas Long Question || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস- বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন। প্রশ্নের বিষয়- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃনাল সেনের অবদান।

প্রশ্ন– বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মৃনাল সেনের অবদান আলোচনা কর। (৫)

উত্তর– বাংলা সিনেমার বিকাশের ধারায় মৃনাল সেনের (১৯২৩-২০১৮) অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। ১৯৫৫ সালে ‘রাতভোর’ ছবির মাধ্যমে তাঁর পথচলা শুরু। চলচ্চিত্র পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা, তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রভৃতি অনেক কাজের মধ্য দিয়ে এই কৃতীর কর্মধারা বহমান ছিল।

অবদান

প্রথম ছবিতে সাফল্য না পেলেও তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’(১৯৫৮) তাঁকে আলাদা পরিচয় এনে দিয়েছিল।  তারপর একে একে ‘বাইশে শ্রাবণ’ (১৯৬০), ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯), ইন্টারভিউ (১৯৭১), ক্যালকাটা ৭১(১৯৭২), পদাতিক (১৯৭৩), একদিন প্রতিদিন (১৯৭৯), খারিজ (১৯৮২), আকালের সন্ধানে(১৯৮২) প্রভৃতি ছবিগুলি স্বদেশে এবং বিদেশে সমাদৃত হয়েছে।

 তাঁর অন্যান্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে  ‘আকাশ কুসুম, ‘মৃগয়া’, ‘চালচিত্র’, ‘খন্ডহর’, ‘অন্তরীন’ এবং সর্বশেষ ২০০২ সালে ‘আমার ভুবন’। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে তিনি বাংলা ছাড়াও উড়িয়া (মাটির মনিষ), তেলেগু (ওকা উরি কথা) এবং হিন্দি (ভুবনসোম) ভাষাতেও ছবি নির্মান করেছেন। 

অনন্যতা– মৃণাল সেনের ছবিতে 

(১) আমরা সেই ভারতবর্ষের পরিচয় পাই যা বিভূতিভূষণের উপন্যাসে পেয়ে থাকি;

(২) মধ্যবিত্ত মানসিকতার প্রতিফলন খুব বেশি চোখে পড়ে;

(৩) সত্তরের দশকের অস্থির সমাজব্যাবস্থার ছবি দেখতে পাই;

(৪) অসহায়, বঞ্চিত ও শোষিত মানবাত্মার কথা তুলে ধরে;

(৫) একটি নতুন ধারার সন্ধান পাই যা পরবর্তীকালের অনেক চলচিত্র নির্মাতাকে প্রভাবিত করেছে। 

সন্মান ও পুরস্কার

তাঁর ছবি যেমন অনেক পুরষ্কারে সন্মানিত হয়েছে তেমন তিনিও দেশে বিদেশে অনেক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন যার মধ্যে ১৯৮১ সালে ‘পদ্মভূষণ’, ২০০৫ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার, রাশিয়ার ‘অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ’ ও ফ্রান্সের ‘কমান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’ প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নঃ 

error: Content is protected !!