প্রিয় পরীক্ষার্থী,
১) পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত রকম টেনশন ভয়-ভীতি দূরে সরিয়ে রাখো। এখন ভাবছো যা পড়েছি সব ভুলে যাচ্ছি কিন্তু পরীক্ষার হলে সব মনে পড়ে যাবে।
২) এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সহ (অন্যান্য নথি যদি কিছু থাকে সেগুলিও) এবং দুটি কালো বলপেন, দুটি নীল বলপেন (পারলে আরও দুটি অতিরিক্ত কলম), পেনসিল, স্কেল এইসব জিনিসপত্র এখনই ব্যাগে ভরে রাখো।
৩) নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘন্টা আগে পরীক্ষার সেন্টারে পৌঁছে যাবে।
৪) প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেবে। যেগুলি কমন আসেনি সেগুলি নিয়ে ভাবতে বোসো না। যেগুলি খুব ভালোভাবে পারবে সেগুলি নিয়ে মনেমনে প্ল্যানিং করে নেবে।
৫) সবথেকে ভালো উত্তরগুলি আগে লিখবে। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যে উত্তরগুলি জানা নেই সেগুলি প্রথমেই শুরু করলে অনেকটা সময় নষ্ট হয়।
৬) উত্তর লেখার সময় প্রশ্নের দাগ নাম্বার ভালো করে মিলিয়ে নিয়ে লিখবে।
৭) অনেকেই আমাকে ইমেল দিয়ে জিজ্ঞেস করেছ যে বড় প্রশ্নের উত্তরগুলি যথাযথ আছে কি না? মানে আরো বড় বা ছোটো লিখতে হবে কি না? আমি বলি, প্রায় সব উত্তর নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যা মেনে লেখা হয়েছে। এই নিয়ে অযথা ভেবো না।
৮) উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে, রচনা যদি কেউ কমন না পাও তবে সবথেকে শেষে রচনা লিখবে। রচনার কিছুই প্রস্তুতি না থাকলে ৮.৪ দাগ নম্বরের জীবনীমূলক রচনাটি করবে। অনেক পয়েন্ট দেওয়া থাকে। একটু বানিয়ে লিখতে পারলে দু’তিন পাতা হয়ে যাবে।
৯) একাদশ শ্রেণির শর্ট এবং এমসিকিউ এর উত্তর মূল উত্তরপত্রে লিখতে হয়। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শর্ট এমসিকিউ প্রশ্নেই উত্তর এবং সেটি জমা দিতে হয়। যেহেতু প্রশ্নেই উত্তর লিখতে হয় তাই জায়গা সীমিত। সেইজন্য নির্ভুল করার চেষ্টা করবে। কাটাকাটি না করাই ভালো।
১০) একটা কথা আগেই বলতে হত, এখন যোগ করছি। উত্তরপত্রের উপরের দিকে এবং ডান ও বা দিকে এক ইঞ্চি ছেড়ে মার্জিন টেনে তারপর উত্তর লিখবে।
পরিশেষে, সকলে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানাই যে দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি অধ্যায়ে টেক্সটভিত্তিক ভিডিও যোগ করতে চলেছি। তার সঙ্গে আরও বহু প্রশ্নোত্তর এবং প্রোজেক্ট। চোখ রেখো। সঙ্গে থেকো।