ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া/ কেন তবে আঁকাআঁকি” – কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর- ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি বলেছেন একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে যেকোনো কবি, লেখক বা শিল্পী সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন । সেই কারনে সামাজিক বিপর্যয়ের সময় ক্রন্দনরতা জননীর পাশে দাঁড়ানটা যেকোনো বুদ্ধিজীবির কর্তব্য।
সমাজে লেখকদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বলা হয় ‘Pen is mightier than sword’ অর্থাৎ তরবারির চেয়ে কলমের ক্ষমতা বেশি। একজন লেখক তার লেখনীর সাহায়্যে যেমন সমসাময়িক সমাজকে লিপিবদ্ধ করে করে রাখেন তেমনি প্রতীবাদের তীব্রতায় যেকোনো শাসকের ডানা ছাটতে পারেন। সামাজিক অবক্ষয়ের কালপর্বে কবি লেখকদের প্রতিবাদীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বলেছেন।
গান প্রতীবাদের অন্যতম ভাষা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তো বটেই এমনকি ভারতেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রধান হাতিয়ার হয়েছে গান। গানের মাধ্যমে যেমন শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানানো যায় তেমনি সমস্ত নিপীড়িতদের ঐক্যবদ্ধ হবার প্রেরণা দেওয়া যায়। সেই জন্য কবি প্রতিবাদের মঞ্চে গায়কদেরও আমন্ত্রন জানিয়েছেন। ক্রন্দনরতা জননীর পাশে দাঁড়ানোটা একজন গায়কেরও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
চারুশিল্পের মধ্যে অঙ্কন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। যথার্থ শিল্পীর কাছে তার ছবি প্রতীবাদের ভাষা হিসাবে কাজ করে। সেই জন্য সন্তান হারা জননীর পাশে অঙ্কন শিল্পীকে দাঁড়াতে বলেছেন কবি। এই ভাবে বিপন্ন সময়ে লেখক-শিল্পীরা আগিয়ে আসুক এটাই কবির বক্তব্য।