ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় কবির মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লিখ ।
উত্তর- কবি মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতাটি সমকালীন যুগের একটি সমাজমনস্ক কবিতা। লেখক, শিল্পী তথা বুদ্ধিজীবীরা সমজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সমাজের প্রতি তাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা থাকে। কবিতার প্রথম স্তবকেই কবি লেখক-শিল্পীদেরকে তাদের দায়িত্বশীলতার কথা মনে করিয়ে দেন। কবি বলেন-
“ক্রন্দনরতা জননীর পাশে …. কেন তবে লেখা,কেন গান গাওয়া/ কেন আঁকাআঁকি?”
প্রতিহিংসার কারণে যখন ভ্রাতৃসম সহ নাগরিকের মৃত্যু হয় তখন তো রাগ হওয়াই স্বাভাবিক। তা না হোলে সমাজ, সামাজিকতা এবং মুল্যবোধের কি বা দাম!
হিংসার লেলিহান শিখা যখন নারীকেও গ্রাস করে তখন ঈশ্বরের দোয়ায় পাড়া মুর্খামির পরিচায়ক। কবির মতে ঈশ্বরকে স্মরণ করা মানেই ঈশ্বরানুগত্য নয় বরং মানুষ নিজের ভীরুতা, কাপুরুষতার কারনে বিপদে পড়ে ঈশ্বরকে ডাকে।
কবিতার শেষ স্তবকে কবি নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। মানুষের অস্তিত্ব যখন সঙ্কটে তখন তিনি ঈশ্বর আরাধনা করবেন না। নিজের বিবেককে জাগিয়ে রেখে প্রতিবাদের বারুদ সঞ্চয় করতে চান তিনি। কবি তার উপলব্দির সঙ্গের ভাষা মিশিয়ে সৃষ্টি করেন প্রতিবাদের কবিতা। মনুষ্যত্বের উপর চরম আঘাত নেমে আসার আগে অর্থাৎ বিস্ফোরণেই আগেই কবি প্রতিবাদে সোচ্চার হন।