ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় প্রতিবাদের ভাষা

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে

বড় প্রশ্ন (মান- ৫)

১। ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবির প্রতিবাদের কথা নিজের ভাষায় লেখ।

উত্তর- মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় রাষ্ট্রীয় পীড়নের বিরুদ্ধে জনসাধারনের সমবেত প্রতিবাদের বাণী ধ্বনিত হয়েছে। কবিতার প্রথম তিনটি স্তবকে কবি তিনটি প্রশ্নের উত্থাপন করেছেন। প্রথম স্তবকেই সমাজের প্রতি দেশের বুদ্ধিজীবী লেখক-শিল্পিদের দায়বদ্ধতার কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে কবির প্রশ্ন- বিপন্ন যখন স্বদেশ, সন্তানের রক্তে যখন সিক্ত মায়ের আঁচল তখন সমাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে শিল্প, সঙ্গীত বা সাহিত্যচর্চার কী মূল্য?

মৃদুল দাশগুপ্তের কবিতা
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে

কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে দেশের সাধারণ মানুষের দরবারে পৌঁছে কবি প্রশ্ন করেছেন- নিরপরাধ সহনাগরিকের মরদেহ দেখেও যদি কেউ নিরুত্তাপ থাকে তাহলে কেনই বা সমাজ আর কেন সামজিকতা? তথাকথিত ভালোবাসা, মূল্যবোধ কি তবে রসাতলে গেল?

তৃতীয় স্তবকে একটি নারী-নিগ্রহের ঘটনার উল্লেখ করে কবি প্রশ্ন করেছেন যে সংকটকালে ঈশ্বরকে স্মরন করে ন্যায়বিচার চাইলেই কি সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?

শেষতম স্তবকে কবি তাঁর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। একজন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক হওয়ার কারণে তিনি সবসময় নিজের বিবেককে জাগিয়ে রাখবেন যাতে করে সমাজের প্রতিটি অসঙ্গতি তাঁর কবিতায় ধরা দেয়। চোখের সামনে অন্যায় হতে দেখলে তিনি ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের জন্য প্রার্থনা করে কালক্ষয় করবেন না। তাঁর জাগ্রত হৃদয়ে পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে তিনি বারুদ হিসেবে ব্যাবহার করে প্রতিবাদ করবেন সকল অন্যায়ের।

error: Content is protected !!