এদিকে তার ঘরের অবস্থাও তখন শোচনীয়- স্ত্রী শয্যাগত এবং ছেলেমেয়েগুলি অন্নাভাবে কাঁদতে থাকে। নিখিল প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসে। সে এসে মৃত্যঞ্জয়ের স্ত্রী অর্থাৎ টুনুর মাকে সুস্থ হয়ে ঘরের হাল ধরতে বলে। কিন্তু টুনুর মা বলে সে যদি সুস্থ হয় তাহলে সে মৃত্যঞ্জয়ের সঙ্গেই ঘুরবে। সে অকপটে জানায় যে বাড়ির ছেলেমেয়েগুলির জন্য তার চিন্তা হয় না বরং নিরন্ন মানুষগুলোর কথাই তার মনে পড়ে। মৃত্যুঞ্জয়ের মতো সেও প্রশ্ন করে- “আচ্ছা, কিছুই কি করা যায় না?” নিখিলের এরপর আর কিছু বলার থাকে না।
নিষ্ফলা সহানুভূতির ছোঁয়াচে রোগ মৃত্যঞ্জয়ের মতো তার স্ত্রীকেও গ্রাস করেছিল বলে হতাশায় নিখিলের মুখ কালি হয়ে যায়।