দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
শম্ভু মিত্রের নাটক বিভাব
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “জীবন কোথায়”- কে, কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন? ১+১+৩ (উঃ মাঃ ২০১৯)
উত্তর- ‘বিভাব’ নাটকে নাট্যকার শম্ভু মিত্র এই কথা বলেছেন নাটকের অপর এক চরিত্র অমর গাঙ্গুলিকে।
জীবনের আসল স্বাদ আস্বাদন করতে হলে চার দেওয়ালের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নাট্যকারের মতে, জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে ‘রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে’। অর্থাৎ, বৃহত্তর জনজীবনের মধ্যেই জীবনের প্রকাশ। কিন্তু মানুষ বড়ই বাস্তববিমুখ। সুখ-দুঃখ, হাসিকান্না নিয়েই মানুষের জীবন। কিন্তু মানুষ শুধু সুখটা চায়, দুঃখকে বরণ করার মানসিকতা কারো নেই। পয়সা দিয়ে টিকিট কিনে কৃত্রিম হাসির টনিক খাওয়ার জন্য মানুষ থিয়েটারে যায়। হাসির নাটকের বাজার খুব ভালো বলেই সম্পাদক চেয়েছেন হাসির নাটক মঞ্চস্থ করতে। সেইজন্য শম্ভু মিত্র মানুষকে হাসাবার রীতিমত চেষ্টাও করে গেছেন। কিন্তু বদ্ধ ঘরের মধ্যে হাসির খোরাক পাওয়া সম্ভব নয়, তাই নাট্যকারের সব চেষ্টা বিফলে যায়। শেষপর্যন্ত নাট্যকার এবং তাঁর সহঅভিনেতা অমর গাঙ্গুলি রাস্তায় নেমে পড়েন।
এইভাবে তাঁরা শহরের রাস্তার মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করতে চেয়েছেন। ব্যস্ত শহরের অগণিত নরনারী, তাদের নিত্যদিনের জীবনযাপন, অভাব-অভিযোগ, চাওয়া-পাওয়া এসবের মধ্যেই প্রকৃত জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে বলে নাট্যকার মনে করেন।