উচ্চমাধ্যমিক ২০১৭
৮.১ প্রদত্ত মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা কর।
৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতিদানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধরচনা করাে:
বাংলা বইয়ের দুঃখ
বিলাতে অন্তত সামাজিকতার দিক থেকেও লােক বই কেনে। কিন্তু আমাদের দেশে সে বালাই নেই। ও দেশে বাড়িতে গ্রন্থাগার রাখা একটা আভিজাত্যের পরিচয়। শিক্ষিত সকলেরই বই কেনার অভ্যাস আছে। না কিনলে নিন্দে হয়- হয়ত বা কর্তব্যেরও ত্রুটি ঘটে। আর অবস্থাপন্ন লােকেদের তাে কথাই নেই। তাদের প্রত্যেকেরই বাড়িতে এক একটা বড় গ্রন্থাগার আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাত আমরা। আমাদের শিক্ষিতদের মধ্যেও পুস্তকের প্রচলন নেই।
৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে:
বিতর্কের বিষয় : ‘বিজ্ঞাপনী প্রচার মানুষকে বােকা বানানাের কৌশল’
মতের পক্ষে: নিজের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নির্বাচনের সুযােগ দেয় বিজ্ঞাপন। কিন্তু এখানেই থেকে যায় প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা। বিজ্ঞাপনের জৌলুসে বিভ্রান্ত হয়ে যখন নিম্ন মানের দ্রব্য ক্রয় করা হয় তারপর আক্ষেপ ছাড়া কিছুই করার থাকে না, মানুষ নিজের সামর্থ্যের কথা ভুলে গিয়ে বিজ্ঞাপনের প্রলােভনে পণ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। কখনাে কখনাে রুচিহীন বিজ্ঞাপন বিশেষবাবে অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। মুনাফা লাভের জন্য পণ্য প্রস্তুতকারক বা বিক্রেতা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য পরিবেশন করেন বিজ্ঞাপনে। পরিণত শিক্ষিত মানুষও এর ফলে অনেক সময় বিভ্রান্ত বােধ করেন। তাই বিজ্ঞাপনী প্রচার নয় পণ্যদ্রেব্যর গুণগত মান গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠা আবশ্যক।
৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে।
মহাশ্বেতা দেবী
জন্ম :১৪ জানুয়ারি, ১৯২৬ ঢাকায়।
পিতা : মণীশ ঘটক (যুবনাশ্ব)
শিক্ষা: রাজশাহির স্কুলে, শান্তিনিকেতনে (১৯৩৬-৩৮), রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ, ম্যাট্রিক পাশ (১৯৪২) পরে এম.এ (ইংরেজি)।
কর্মজীবন: পদ্মপুকুর ইনস্টিটিউশনে শিক্ষাকতা, পােস্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফে আপার ডিভিশন ক্লার্ক। রমেশ মিত্র বালিকা বিদ্যালয়ে এবং জ্যোতিষ রায় কলেজে শিক্ষাকতা।
সাহিত্য কীর্তি: ‘ঝাঁসীর রাণী’, ‘অরণ্যের অধিকার’, ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘স্তন্যদায়িনী’ ও অন্যান্য গল্প।
পুরস্কার :ম্যাগসাইসাই, সাহিত্য একাদেমি, জ্ঞানপীঠ, দেশিকোত্তম, পদ্মশ্রী ইত্যাদি।
মৃত্যু : ২৮ জুলাই ২০১৬ কলকাতা।