উচ্চমাধ্যমিক রচনা ২০১৫

উচ্চমাধ্যমিক ২০১৫

৮.১ মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা কর।

মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতিদানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধরচনা করাে :

শক্তির সন্ধানে মানুষ

অঙ্গার সম্পদ কিংবা মাটির তেল চিরদিন থাকবে না। ভাণ্ডার যা খরচ হয়, তার প্রতিপূরণ হচ্ছে না। যে অবস্থায় এসব সম্পদ সঞ্চয় সম্ভব হয়েছিল, সময়ের সঙ্গে তারও হয়েছে আমূল পরিবর্তন। তাই আজকের সাবধানী মহলে। শােনা যায় সতর্কতার বাণী। আর কতকাল অঙ্গার বা তেল মনুষ্য সমাজের নিত্যবর্ধমান চাহিদা জোগাতে পারবে তারও হিসেবে হচ্ছে মাঝে মাঝে, আর মানুষ ছুটছে নতুন কয়লাখনির সন্ধানে, নতুন তেলের উৎস মাটির বাইরে আনতে।

৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধরচনা করাে:

বিতর্কের বিষয় :
আধুনিক জীবনে বৃদ্ধাবাস অপরিহার্য

মতের পক্ষে : আধুনিক সভ্যতায় অধিকাংশ পরিবার ছােটো পরিবার। বেশিরভাগ পরিবারে সন্তানসংখ্যা একটি। আবার শিক্ষা ও জীবিকার তাগিদে তাদের অনেকেই পাড়ি দেয় বিদেশে। যাদের সন্তান দীর্ঘকাল বা আজীবন বিদেশে
থাকতে বাধ্য হয় বা স্বেচ্ছায় বেছে নেয় প্রবাসী জীবন, তাদের পিতামাতার জীবনে নিত্যসঙ্গী একাকীত্ব। যা প্রবাসী সন্তানকেও চিন্তিত করে তােলে।
বৃদ্ধবয়সে অবসর যাপনের জন্য প্রয়োজন সমবয়স্ক সঙ্গীর। বৃদ্ধাবাসে প্রায় কাছাকাছি বয়সের অনেক মানুষ একত্রে থাকে। পারস্পরিক সাহচর্য তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সুতরাং সন্তানের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে একাকিত্বের যন্ত্রনা ভোগ না করে বয়স্ক মানুষের বৃদ্ধাশ্রমবাসের সিদ্ধান্তই শ্রেয়।

৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে ১টি প্রবন্ধ রচনা করাে:

বেগম রােকেয়া

জন্ম: ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০, বর্তমান বাংলাদেশের রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে।

পিতা: জহীরুদ্দিন আবু আলী হায়দার সাবের

মাতা: রাহাতুন্নেসা চৌধুরী।

সমসাময়িক সমাজ: পর্দাপ্রথা প্রচলিত। খানদানি ফারসি বা উর্দু ভাষা শেখা যাবে। বাংলা বা ইংরেজি নয়।

পারিবারিক বৃত্ত ও শিক্ষালাভ: রক্ষণশীল পরিবার। দিদি করিমুন্নেসা এবং দাদা ইব্রাহিম সাবেরের প্রেরণা ও সহযােগিতায় বাংলা ও ইংরাজি শিক্ষা।

বিবাহ : ১৬ বছর বয়সে, পাত্র সৈয়দ সাখাওয়াত হােসেন। ওড়িশা কণিকা স্টেটের ম্যানেজার।

বিবাহিত জীবন: স্বামীর কাছে ইংরেজি শিক্ষা। লিখলেন ‘Sultana’s Dream’, লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। দুই কন্যা। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে সাখাওয়াতের মৃত্যু।

সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য: দেশহিত ও মানুষের মঙ্গলসাধন।

সাহিত্যকৃতি: পিপাসা, মতিচুর, পদ্মরাগ, অবরােধবাসিনী।

উল্লেখযােগ্য কীর্তি :
সাখাওয়াত মেমােরিয়াল গার্লস স্কুল (১৯১১), ‘নিখিলবঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতি বা ‘আমন-ই-খাওয়াতীনে ইসলাম (১৯১৬)।

মৃত্যু : ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ৯ ডিসেম্বর।

error: Content is protected !!