অচলায়তনের অন্যান্য আবাসিকদের তুলনায় পঞ্চক ছিল মুক্ত মনের অধিকারী। অচলায়তনের প্রাচীরঘেরা জীবন এবং পুঁথিগত বিদ্যা তার মনঃপুত ছিল না। সে মনে মনে প্রার্থনা করেছিল যে গুরুর আগমন হোক এবং সে পুঁথির বোঝা থেকে নিস্তার পাক। তার অনুভবে গুরু ছিলেন একজন উদার প্রকৃতির মহামানব। আর তাঁর এই বিশালতার কথা কল্পনা করে পঞ্চক বলেছিল যে অচলায়তনে তাঁকে কোথাও ধরবে না। গুরু পুঁথিপত্র, মন্ত্র-তন্ত্র, যাগ-যজ্ঞ, আচারনিষ্ঠার ঊর্ধ্বে। তাঁকে যথার্থভাবেই অচলায়তনে ধরতো না। তাই নাটকের শেষে দেখি, গুরু নিজে এসে আয়তনের প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন।