নাটকের চতুর্থ দৃশ্যটি নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। এই অংশেই সকলে জানতে পারছে যে যিনি অচলায়তনের গুরু, তিনি দর্ভকদের গোঁসাই ঠাকুর এবং তিনিই যুনকদের দাদাঠাকুর। দাদাঠাকুরের আজ্ঞাবহ যুনকরা অচলায়তনের প্রাচীর ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে এটা জানার পরেও কারো কারো মনে ভরসা ছিল যে গুরু আসছেন। কিন্তু দাদাঠাকুরই যে গুরু একথা কেউ জানত না, কারণ অচলায়তনিকদের মধ্যে কেউ আগে গুরুকে দেখেনি। আচার্য অদীনপুণ্য গুরুকে চিনতে পারতেন কিন্তু তিনি তখন দর্ভকপল্লীতে নির্বাসিত ছিলেন। সেইজন্য অচলায়তনের মধ্যে একটা ভ্রম ছিল যে গুরু এসে অচলায়তনকে রক্ষা করবেন।
সেই মুহূর্তে যোদ্ধার বেশে দাদাঠাকুর প্রবেশ করেন এবং শঙ্খবাদক ও মালী তাকে গুরু বলে সম্বোধন করেন। গুরুর এই বেশ দেখে সকলে স্তম্ভিত হয়ে যায়। এই ঘটনাটি আমার কাছে সবথেকে চমকপ্রদ মনে হয়েছে।