দ্বাদশ শ্রেণি
শম্ভু মিত্রের বিভাব নাটক
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত ‘অভাব নাটক’।”-অভাবের চিত্র “বিভাব’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো ৷ ১+৪ (উঃ মাঃ ২০১৫)
উত্তর- নাট্যকার শম্ভু মিত্রের একটি অন্য স্বাদের একাঙ্ক নাটক হল ‘বিভাব’। এই নাটকের চরিত্ররা তাদের বাস্তব জীবনের পরিচিতি নিয়েই মঞ্চে হাজির হন। পর্দা খোলার পর নাট্যকার শম্ভু মিত্র সরাসরি দর্শকদের উদ্দেশ্য কথা বলতে শুরু করেন।
নাট্যকার দর্শকদের জানান যে, জনৈক ভদ্রলোক পুরনো নাট্যশাস্ত্র ঘেঁটে এই নাটকের নাম দিয়েছেন ‘বিভাব’। কিন্তু এই নামকরণের ব্যাপারে স্বয়ং নাট্যকারের আপত্তি রয়েছে। তাঁর মতে এই নাটকের নাম হওয়া উচিত ‘অভাব নাটক’, কারণ ‘দুরন্ত অভাব থেকেই এর জন্ম’। কীসের অভাব, লেখক সেটাও স্পষ্ট করে বলেছেন।
নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য যেসকল উপকরণ দরকার সেগুলির কোনোটিও তাদের নেই। যেমন- সিনসিনারি, আলো, ঝালর ইত্যাদি। ‘নাটক করার বোকামিটা’ তাদের একমাত্র সম্বল। তাই জোগাড়যন্ত্রর করে যদি বা একটা নাটক মঞ্চস্থ করা হয় তো সরকারের পেয়াদা খাজনার খাতা নিয়ে এসে হাজির হয়। পেশাদারদের কাছে সরকার খাজনা নেয় না কিন্তু গ্রূপ থিয়েটারের কাছে নেয়। নাট্যকারের কথায়, ‘সেই নেওয়ার ভঙ্গিটা এমন বিচিত্র সাঁড়াশি ভঙ্গিতে’ যে আবার তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। নাটক করার পথে এই অর্থনৈতিক অভাবটাই যেন অন্যতম অন্তরায়।