দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
নাটক- বিভাব
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- ‘এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম।” – ‘এমনি সময়’ বলতে কোন্ পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে? সাহেবের নাম কী? তিনি কী লিখেছিলেন? ২+১+২ (২০২০)
উত্তর- শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে দেখা যায় নাটক শুরু হতেই নাট্যকার সরাসরি দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে গ্রুপ থিয়েটারের আর্থিক অনটনের দিকটি। নাট্যকার দর্শকদের জানিয়েছেন যে, নাট্য-সরঞ্জাম বাদ দিয়ে যদি অঙ্গভঙ্গির সাহায্যে কাজ চালানো যেত তাহলে ব্যয়ভার অনেকটা কমে যেত।
একটি পুরোনো বাংলা নাটকে এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশের যাত্রা-তামাশায় তিনি অঙ্গভঙ্গিমার ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছিলেন। কিন্তু নাট্যকারের মতে, যদি কোনো সাহেব এবিষয়ে শংসাপত্র দিতেন তাহলে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা মেনে নিতেন। এই সময়ই তিনি এক সাহেবের লেখা পড়েছিলেন।
আলোচ্য অংশে যে সাহেবের উল্লেখ রয়েছে তিনি হলেন রুশদেশীয় বিখ্যাত চিত্রপরিচালক আইজেনস্টাইন।
একবার কাবুকি থিয়েটার নামক একটি জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল। সেই থিয়েটার দেখার অভিজ্ঞতার কথাই আইজেনস্টাইন সাহেব লিখেছিলেন। সেই নাটকেও নাকি অঙ্গভঙ্গির বহুল ব্যবহার ছিল। উক্ত সাহেবের লেখা পড়ে নাট্যকার আরো জানতে পারেন যে, কাবুকি থিয়েটার চলাকালীন মঞ্চে যদি অতিরিক্ত লোক থাকে সেটাও কেউ খারাপ চোখে দেখে না। আবার, যুদ্ধের দৃশ্যে অভিনেতারা কাল্পনিক খাপ থেকে কাল্পনিক তলোয়ার বার করে যুদ্ধ করে।
নাট্যকার বলেছেন যে, আইজেনস্টাইন তাঁর লেখায় কাবুকি থিয়েটারের অনেক প্রশংসা করেছিলেন।