ধ্বনিতত্ত্ব
ভাষাবিজ্ঞান (দ্বাদশ শ্রেণী)
প্রশ্ন- ধ্বনিমূল ও সহধ্বনির পার্থক্য লেখ ।
উত্তর- ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় হল- বাকধ্বনি অর্থাৎ মানুষ কথা বলার জন্য যে ধ্বনি উচ্চারন করে। ধ্বনিতাত্ত্বিকেরা সেগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন- ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি।
ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনির সম্পর্ক নিম্নরূপ-
প্রথমত- বাংলায় উচ্চারিত ৩০টি ব্যাঞ্জনধ্বনি এবং ৭টি স্বরধ্বনি সব একেকটি ধ্বনিমূল। আর, কোনো কোনো ধ্বনির যে উচ্চারন-বৈচিত্র্য রয়েছে, সেগুলি হল সহধ্বনি। ধ্বনিমূল এবং সহধবনি মিলে একেকটি পরিবার। ধ্বনিমূল সেই ধ্বনি-পরিবারের প্রধান। কোনো ধ্বনি-পরিবারের সদস্য অর্থাৎ সহধ্বনির সংখ্যা বেশি এবং কোন পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম।
দ্বিতীয়ত- ধ্বনিমূল একটি কল্পনামাত্র, সহধ্বনির সাহায্যে আমরা ধ্বনিমুলে পৌঁছানর চেষ্টা করি। সেই অর্থে সহধ্বনি হল ধনিমুলের ব্যাবহারিক রূপ।
তৃতীয়ত- ধ্বনিমূলের পার্থক্যের জন্য শব্দের অর্থপার্থক্য হয় কিন্তু সহধ্বনি পালটে দিলে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয় না। যেমন- ‘জাম’ শব্দটিকে যদি ‘নাম’ উচ্চারণ করি অর্থাৎ /জ/ পরিবর্তে /ন/ লেখি বা উচ্চারণ করি তাহলে অর্থ পুরোপুরি পাল্টে যাচ্ছে।