বাঙালির ক্রীড়াসংস্কৃতি
প্রশ্ন- রামায়ণ অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালিদের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর- রামায়ণ অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা হলেন রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী।
বাঙালিদের অবদান
দাবা খেলায় বাঙালিদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আধুনিক ভারতবর্ষে প্রথম দাবা খেলার ক্লাবটি গড়ে উঠেছিল এই বাংলাতেই। ১৮৫০ সালে John Cochrane-এর উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল ক্যালকাটা চেস ক্লাব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশন যা অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন দ্বারা স্বীকৃত।
বাংলায় বহু প্রতিভাবান দাবাড়ু রয়েছেন যারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তবে বাঙালি দাবাড়ু হিসেবে সর্বাগ্রে যার নাম করতে হয় তিনি হলেন মহেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জন কোচ্রেনের আমন্ত্রণে ক্যালকাটা চেস ক্লাবে যেতেন। সাম্প্রতিক কালের উল্লেখযোগ্য বাঙালি দাবাড়ু হলেন-
দিব্যেন্দু বড়ুয়া:- বাংলা থেকে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া (১৯৯১)। তিনবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এই দাবাড়ু অর্জুন পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
সূর্যশেখর গাঙ্গুলি:- মাত্র ষোলো বছর বয়সে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার (১৯৯৯) এবং উনিশ বছর বয়সে গ্রান্ডমাস্টার (২০০২) হয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সূর্যশেখর গাঙ্গুলি। এছাড়াও তিনি টানা ছ’বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নজির সৃষ্টি করেছেন। ২০০৫ সালে তাকে অর্জুন পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
সন্দীপন চন্দ:- ২০০৩ সালের গ্র্যান্ডমাস্টার সন্দীপন চন্দ তিনটি দাবা অলিম্পিয়াডে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৮) ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এই রাজ্যের অন্যান্য দাবা খেলোয়াড়দের মধ্যে নীলোৎপল দাস, দীপ সেনগুপ্ত, সপ্তর্ষি রায়চৌধুরী, দীপ্তায়ন ঘোষ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।