চিকিৎসাবিজ্ঞানে বাঙালির অবদান

বাঙালীর বিজ্ঞানচর্চা

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- চিকিৎসাবিজ্ঞানে বাঙালির অবদান আলোচনা করো।

উত্তর- কয়েকজন বাঙালি বিদ্যোৎসাহী এবং ইংরেজদের হাত ধরে উনিশ শতকে বাংলাদেশে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয়েছিল। তবে অল্পকালের মধ্যেই বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন শাখায় বাঙালিরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে শুরু করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানেও বাঙালির অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে যেসকল চিকিৎসক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তারা হলেন-

নীলরতন সরকার- স্বনামধন্য চিকিৎসক নীলরতন সরকার বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ডাঃ সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারির সঙ্গে যৌথভাবে ক্যালকাটা মেডিকেল স্কুল স্থাপন করেছিলেন। বেলগাছিয়া আলবার্ট ভিক্টর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ডাঃ বরাধাগোবিন্দ করকে তিনি বিশেষ সহায়তা করেছিলেন। এছাড়াও আজীবন তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির আসন অলংকৃত করেছিলেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাঙালির অবদান

রাধাগোবিন্দ কর- মানবদরদী চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ কর তার জীবদ্দশাতেই কিংবদন্তি হয়ে ছিলেন। দেশীয় ভাষায় চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন এবং অধ্যাপনার ব্যাপারে তিনি বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হল বেলগাছিয়া অ্যালবার্ট ভিক্টর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা- যার বর্তমান নাম আর জি কর মেডিকেল কলেজ।

কাদম্বিনী বসু- প্রথম বাঙালি মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী বসু। তিনিই আবার বিলিতি ডিগ্রিধারী প্রথম ভারতীয় মহিলা চিকিৎসক।

মহেন্দ্রলাল সরকার- বিশিষ্ট চিকিৎসক মহেন্দ্রলাল সরকার প্রথমে অ্যালোপ্যাথি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলেও পরবর্তীকালে তিনি হোমিওপ্যাথি মতে চিকিৎসা শুরু করেন। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠা।

লালমাধব মুখোপাধ্যায়- বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডাঃ লালমাধব মুখোপাধ্যায় ছিলেন ক্যাকলাটা মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বর্তমানে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন বা IMA) প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।

বাকি অংশ পরের পাতায়

Pages: 1 2

error: Content is protected !!