একাদশ শ্রেণী
সাহিত্যের ইতিহাস
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- গীতিকবিতা কাকে বলে? এই ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান আলোচনা কর। ২+৩
উত্তর- গীতিকবিতা বলতে বোঝায় কাহিনী বর্জিত গীতিমূলক ছোট কবিতা। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, কবির ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন করা হলো গীতিকাব্যের উদ্দেশ্য। আবার রবীন্দ্রনাথ একটিমাত্র ভাবের সংগত প্রকাশের মাধ্যমে মধ্যে গীতিকাব্যের লক্ষণ দেখেছেন। কবিমনের একান্ত ভাবনা যে কবিতার মাধ্যমে ফুটে ওঠে তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
বাংলা গীতিকবিতার স্রষ্টা হিসাবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ যোগ্য। তবে বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার মুল সুরটিকে ধরতে পেরেছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী। বাংলা কাব্যসাহিত্যের ইতিহাসে তাকে ‘ভোরের পাখি’ বলে অভিহিত করা হয়।
কাব্য পরিচয়– বিহারীলালের উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলি হল সংগীতশতক(1862), বঙ্গসুন্দরী (1870), নিসর্গ সন্দর্শন (1870) বন্ধু বিয়োগ (1870), প্রেম প্রবাহিনী (1870) এবং সারদামঙ্গল (1879) ও সাধের আসন (1889)। কাব্যগুলির মধ্যে ‘সারদামঙ্গল’ হল বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ রচনা। তবে কাব্য হিসাবে ‘বঙ্গসুন্দরী’ ও ‘নিসর্গ সন্দর্শন’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ঊনবিংশ শতকে বাংলাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের ফলে নারী জাতি সম্পর্কে যে নতুন বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের সৃষ্টি হয়েছিল ‘বঙ্গসুন্দরী’ কাব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ‘নিসর্গ সন্দর্শন’ কাব্যের বিষয় কবির সৌন্দর্যচেতনা।
বাকি অংশ পরের পাতায়