বাংলা সাহিত্যে অন্তর্ভুক্তির কারণ
বিদ্যাপতি বাঙালি কবি না হয়েও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম অঙ্গ হয়ে গেছেন। তখনকার দিনে বাংলা এবং মিথিলা ছিল পূর্ব ভারতের সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান। বাংলাদেশের ছাত্ররা ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য মিথিলায় যেত এবং বিদ্যাপতির পদ গুলি হৃদয়ে ধারণ করে আনত। এভাবেই বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতির অন্তর্ভুক্তি ঘটেছিল।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যাপতির পদে মধুর রসের বিচিত্র অভিব্যক্তি বাঙালির হৃদয়কে আকৃষ্ট করেছিল।
তৃতীয়ত, বিদ্যাপতির ব্রজবুলিভাষা সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
সর্বোপরি, স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদের রসাস্বাদন করতেন। এই খ্যাতি বিদ্যাপতিকে অমরত্ব দান করেছে।