ভাত গল্প থেকে বড় প্রশ্ন
প্রশ্নের মান- ৫
প্রশ্ন- “আসল বাদাটার খোঁজ করা হয়না আর উচ্ছবের”- ‘আসল বাদা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উচ্ছব আসল বাদার খোঁজ করতে পারেনি কেন? ১+৪
উত্তর- মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পে বাসিনীর মনিব বাড়ির এতো এতো ধান যে বাদা থেকে আসতো, সেই বাদাকেই উচ্ছব ‘আসল বাদা’ বলেছিল।
দুপুরবেলায় উচ্ছব যখন কাঠ কাটছিল তখন বাসিনীর কাছে সে জানতে পারে যে তার মনিব বাড়িতে এতো ধান-চালের প্রাচুর্য্য বাদার জমির দৌলতে। উচ্ছব পেশাতে একজন কৃষিমজুর। সেও অনেক বাদা দেখেছে। কিন্তু তাদের দেশগাঁয়ে যে বাদা রয়েছে সেখানে শুধু শাকপাতা জন্মায়, ধান তো পাওয়া যায়না। তাই উচ্ছবের কৌতূহল হয় আসল বাদাটা দেখার।
কাঠ কাটা হয়ে যাবার পর সে আরেকবার মনস্থির করে যে ভাত খেয়ে, শরীরে একটু বল পেলে সে আসল বাদাটার সন্ধান করবে। কিন্তু উচ্ছবের সেই আশা পূরণ হয়নি।
যার জন্য যজ্ঞের আয়োজন হয়েছিল, সেই বুড়ো কর্তা মারা যায়। অশৌচ বাড়ির খাবার খাওয়া চলে না। পিসিমার নির্দেশে রান্না করা খাবারদাবার ফেলতে যায় বাসিনী আর উচ্ছব। হঠাৎ করে ভাত নিয়ে দৌড় দেয় উচ্ছব। বাসিনীর বারণ না শুনে সে সোজা গিয়ে হাজির হয় স্টেশনে। দুহাত দিয়ে মনপ্রাণ ভরে ভাত খায় উচ্ছব। খাওয়া হলে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে সে।
সকাল হতেই লোকজন এসে উচ্ছবকে ধরে ফেলে; পেতলের ডেকচি চুরির অপরাধে তাকে মারতে মারতে নিয়ে যায় থানায়। এজন্যই আসল বাদাটার খোঁজ করে উঠতে পারেনা সে।