হিন্দু-মুসলমানের উত্তেজনা যখন চরম আকার ধারণ করল তখন একে একে সব দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ হতে থাকল। এরপরেই বিবদমান দুই পক্ষকে সমর্থন করার জন্য গ্রাম থেকে প্রচুর লোক আসতে লাগলো। মৌখিক বচসা ক্রমেই সশস্ত্র গন্ডগোলের আকার ধারণ করল। বুড়ির চ্যাংদোলাকে মাঝখানে রেখে একদিকে মুসলমান আরেক দিকে হিন্দুপক্ষ গর্জন প্রতিগর্জন করতে লাগলো। আর এই মারমুখী জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে নীল উর্দিপরা সরকারি আইনরক্ষক চৌকিদার দু’পক্ষকেই অনবরত ‘সাবধান’, ‘খবরদার’ বলে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করতে লাগল। এইভাবে বুড়ির মড়াকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নিয়েছিল।