ভারতবর্ষ
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “দেখতে দেখতে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে”- উত্তেজনার কারণ কী? এই উত্তেজনার পরিণাম কী হয়েছিল? (৩+২)
উত্তর- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো একজন অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধা। পৌষে বাদলার এক দিনে সেই বৃদ্ধা এসে হাজির হয়েছিল এবং আশ্রয় নিয়েছিল বাজার সংলগ্ন একটি বটগাছের খোঁদলে। বৃষ্টি থামার পর গ্রামবাসীরা আবিষ্কার করল যে বুড়ি মারা গেছে এবং চৌকিদারের পরামর্শে বুড়ির মড়াটা ফেলে আসা হয় নদীতে।
![ভারতবর্ষ](https://i0.wp.com/banglasir.com/wp-content/uploads/2018/11/IMG_20181105_001615.jpg?resize=595%2C350)
বিকেলে বুড়ির সেই মড়াটাই যখন মুসলমান পাড়ার কয়েকজন নিয়ে আসছিল তখনই বিপত্তি বাঁধে। একদিকে মোল্লাসাহেবের নেতৃত্বে মুসলমান পাড়ার লোকজন দাবি করে যে বুড়ি মুসলমান ছিল, অপরদিকে ভটচাজমশায়ের নেতৃত্বে হিন্দুরা দাবি করে যে বুড়ি হিন্দু ছিল। দু’পক্ষই নিজেদের দাবির সপক্ষে প্রমাণ পেশ করে এবং বুড়িকে নিজেদের সম্প্রদায়ের বলে প্রমাণ করতে চায়।ক্রমশ তর্কাতর্কি শুরু হয় এবং কিছু লোক বুড়ির চ্যাংদোলা নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেয়। এভাবেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল।
বাকি অংশ পরের পাতায়