ধ্বনি ও বর্ণ
সূচিপত্র
যেকোনো শব্দকে বা আওয়াজকে ধ্বনি বলা হয়। কিন্তু ব্যাকরণের আলোচনায়, মানুষের বাগযন্ত্র থেকে যে শব্দ বা আওয়াজ (Sound) বের হয় তাকে ধ্বনি বলা হয়। ধ্বনির লিখিত রূপকে বলা হয় বর্ণ। সুতরাং, ধ্বনি আর বর্ণের মধ্যে পার্থক্য এটুকুই যে, ধ্বনি হল উচ্চারিত আর বর্ণ লিখিত। ধ্বনির উৎপত্তি যেহেতু বাকযন্ত্রে, তাই দেখে নেওয়া যাক বাকযন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
বাকযন্ত্র
বাক্ শব্দের অর্থ হল কথা। মানুষ কথা বলার প্রয়োজনে যেসকল অঙ্গ থেকে ধ্বনি তৈরি করে তাদেরকে একত্রে বাগযন্ত্র বলা হয়। এই তালিকায় রয়েছে কণ্ঠ, জিহ্বা, তালু, মূর্ধা, ওষ্ঠ, দন্ত এবং নাসিকা। মানুষ কথা বলার জন্য প্রথমে শ্বাস গ্রহণ করে এবং তারপর সেই শ্বাসবায়ু নির্গমণের পথে বাকযন্ত্রের একেকটি প্রত্যঙ্গে বাধা পায় ও একেক রকম ধ্বনি উচ্চারিত হয়। মানুষের উচ্চারিত ধ্বনির আবার অনেক ভাগ রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক সেইসব ভাগগুলি।
ধ্বনির প্রকারভেদ
ধ্বনি প্রধানত দুই রকমের। যথাঃ স্বরধ্বনি (Vowels) এবং ব্যঞ্জনধ্বনি (Consonant)। এই দুই প্রকার ধ্বনির আবার উচ্চারণস্থান এবং উচ্চারণরীতি অনুসারে অনেকগুলি ভাগ রয়েছে। নীচে দুই প্রকার ধ্বনি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
স্বরধ্বনি
যে ধ্বনিগুলি উচ্চারণকালে বিশেষ বাধা পায় না এবং উচ্চারণে স্বনির্ভর, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলা হয়। বাংলা স্বরধ্বনির সংখ্যা এগারোটি। ‘ঌ’ ধ্বনি এবং বর্ণের ব্যবহার বাংলাতে নেই। তাছাড়া, ‘ঋ’ ধ্বনির উচ্চারণ ‘রি’-এর মত। এদেরকে বাদ দিলে বাংলা স্বরধ্বনির সংখ্যা দশ।
অ | আ | ই | ঈ |
উ | ঊ | ঋ | ঌ |
এ | ঐ | ও | ঔ |
স্বরধ্বনির শ্রেণিবিভাগ
স্বরধ্বনিকে গঠন, উচ্চারণ স্থান, উচ্চারণকাল, উচ্চারণ-প্রকৃতি প্রভৃতি দিক থেকে নানা ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক উচ্চারনের সময় অনুসারে স্বরধ্বনির বিভাজন।
হ্রস্বস্বর ও দীর্ঘস্বর– উচ্চারণের সময় অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেসকল স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে কম সময় লাগে তাদেরকে বলা হয় হ্রস্বস্বর। অ, ই এবং উ হল হ্রস্বস্বর। যে স্বরধ্বনিগুলি উচ্চারণ করতে বেশি সময় লাগে তাদেরকে বলা হয় দীর্ঘস্বর। যেমন- আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।
গঠনগত দিক থেকে স্বরধ্বনিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলি হল-
ক) মৌলিক স্বরধ্বনি– যে স্বরধ্বনিগুলি অবিভাজ্য তাদেরকে বলা হয় মৌলিক স্বরধ্বনি। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা সাত। সেগুলি হল- অ, আ, ই, উ, এ, ও এবং অ্যা। এদের মধ্যে ‘অ্যা’ ধ্বনিটির নিজস্ব কোনো চিহ্ন নেই কিন্তু বাংলা ভাষায় এই ধ্বনিটির প্রচলন অনেক বেশি। যেমন- আমরা কেউ ‘এক’ বলি না, বলি- ‘অ্যাক’। তেমনি, দেখ> দ্যাখ ইত্যাদি অনেক শব্দ উচ্চারণ করার সময় ‘এ’ না বলে ‘অ্যা’ উচ্চারণ করা হয়।
খ) অর্ধস্বর– পাশাপাশি অবস্থিত দুটি শব্দ মৌলিক স্বরধ্বনির দ্বিতীয়টি যদি স্পষ্টভাবে উচ্চারিত না হয়, তবে তাকে অর্ধস্বর বলা হয়। এই অর্ধস্বরগুলি এককভাবে দল গঠন করতে পারে না। যেমন- বই শব্দটিতে রয়েছে ব, অ, ই। অ এবং ই উভয়েই মৌলিক স্বরধ্বনি কিন্তু ই-এর উচ্চারণ নির্ভর করছে ‘অ’- এর উপর- অই। অ ধ্বনিটি স্পষ্ট কিন্তু ‘ই’ ধ্বনিটি অস্ফুটরূপে উচ্চারিত হচ্ছে। এখানে ‘ই’ হল অর্ধস্বর।
গ) যৌগিক স্বরধ্বনি– যে স্বরধ্বনিগুলি বিভাজ্য তাদেরকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলা হয়। একটি মৌলিক স্বরধ্বনি এবং একটি অর্ধস্বর একসাথে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলা হয়। যেমন- ঐ (অ+ই), ঔ (অ+উ)। ঐ এবং ঔ এই দুটি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব চিহ্ন রয়েছে কিন্তু বাংলায় মোট ২৫টি যৌগিক স্বরধ্বনির সন্ধান দিয়েছেন আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। এরকম কয়েকটি যৌগিক স্বরধ্বনি হল- ইই, ইউ, ইআ, এও, এউ, অ্যাও, উই, ওয় ইত্যাদি।
এছাড়াও স্বরধ্বনির একটি বিশেষ রূপভেদ হল প্লুতস্বর। গান গাওয়ার সময় বা কাউকে সম্বোধন করার সময় কোনো কোনো স্বরধ্বনিকে টেনে টেনে বা দীর্ঘায়িত করে উচ্চারণ করা হয়। এরূপ দীর্ঘায়িত স্বরধ্বনিকে বলা হয় প্লুতস্বর। যেমন- “আ-আ-আ-আমরা নূতন যৌবনেরই দূত”- এখানে ‘আ’ ধ্বনিটি প্লুতস্বর।
এবার দেখে নেওয়া যাক, মৌলিক স্বরধ্বনিগুলি উচ্চারণ করার সময় মুখ, জিহ্বা ও ঠোঁটের আকার বা অবস্থান কী রকম থাকে, সেই অনুযায়ী স্বরধ্বনির শ্রেণিবিভাগ।
স্বরধ্বনি | জিহ্বার অবস্থান | জিহ্বার অভিমুখ | ঠোঁটের আকার | মুখ বিবরের আকার |
ই | উচ্চ | সন্মুখ | প্রসারিত | সংবৃত |
এ | উচ্চ-মধ্য | সন্মুখ | প্রসারিত | অর্ধ-সংবৃত |
অ্যা | নিম্ন-মধ্য | সন্মুখ | প্রসারিত | অর্ধ-বিবৃত |
উ | উচ্চ | পশ্চাৎ | কুঞ্চিত | সংবৃত |
ও | উচ্চ-মধ্য | পশ্চাৎ | কুঞ্চিত | অর্ধ-সংবৃত |
অ | নিম্ন-মধ্য | পশ্চাৎ | কুঞ্চিত | অর্ধ-বিবৃত |
আ | নিম্ন | কেন্দ্রীয় | মধ্যস্থ | বিবৃত |
ব্যঞ্জনধ্বনি
যে ধ্বনিগুলি উচ্চারণকালে বাগযন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে বাধা পায় এবং সেইজন্য কোনো স্বরধ্বনির সাহায্য নিয়ে উচ্চারিত হতে পারে তাদেরকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি হল- ক, খ্, গ্, ঘ্, ঙ্, চ্, ছ্, জ্, ঝ্, ঞ্, ট্, ঠ্, ড্, ঢ্, ণ্, ত্, থ্, দ্, ধ্, ন্, প্, ফ্, ব্, ভ্, ম্, য্, র্, ল্, শ্, ষ, স্, হ্, ড়, ঢ়, য়, ং এবং ঃ। এই ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলির মধ্যে অন্তঃস্থ-ব এর বাংলায় ব্যবহার নেই। ব্যঞ্জনধ্বনিগুলিকে উচ্চারণ স্থান এবং উচ্চারণ প্রকৃতি অনুসারে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়।
উচ্চারণস্থান অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির ভাগ
ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলিকে উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নীচের ছকটিতে বিভিন্ন ব্যঞ্জন ধ্বনির উচ্চারণ স্থান এবং সেই অনুসারে ধ্বনিগুলির নামকরণ তুলে ধরা হল।
ব্যঞ্জনধ্বনি | উচ্চারণস্থান | ধ্বনির নাম |
ক, খ, গ, ঘ | কণ্ঠ ও জিহ্বামূল | কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন |
চ, ছ, জ, ঝ, শ | তালু ও জিহ্বার সন্মুখ | তালব্য ব্যঞ্জন |
ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় | মূর্ধা ও উল্টানো জিহ্বাগ্র | মূর্ধন্য ব্যঞ্জন |
ত, থ, দ, ধ, স | দন্ত ও জিহ্বাগ্র | দন্ত্য ব্যঞ্জন |
প, ফ, ব, ভ | ওষ্ঠ | ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন |
ন, র, ল | দন্তমূল ও জিহ্বাগ্র | দন্ত্যমূলীয় ব্যঞ্জন |
হ | কণ্ঠনালি | কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন |
ঙ, ঞ, ণ, ন, ম | নাসিকা | নাসিক্য ব্যঞ্জন |
উচ্চারণ প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির ভাগ
উচ্চারণ প্রকৃতি অনুসারে বাংলা ব্যঞ্জন ধ্বনিকে নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায়। আগে ভাগগুলি দেখে নেওয়া যাক তারপর সংজ্ঞা দেওয়া হবে।
উচ্চারণ প্রকৃতি | অঘোষ | ঘোষ | ||||
বর্গ | অ ল্প প্রা ণ | ম হা প্রা ণ | অ ল্প প্রা ণ | ম হা প্রা ণ | না সি ক্য | |
স্পর্শ ধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনি | ক- বর্গ | ক | খ | গ | ঘ | ঙ |
চ-বর্গ | চ | ছ | জ | ঝ | ঞ | |
ট-বর্গ | ট | ঠ | ড | ঢ | ণ | |
ত-বর্গ | ত | থ | দ | ধ | ন | |
প-বর্গ | প | ফ | ব | ভ | ম | |
অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন | য | র | ল | ব | ||
উষ্ম ব্যঞ্জন | শ | ষ | স | হ | ||
তাড়িত | ড় | ঢ় | ||||
অযোগবাহ | ঃ, (বিসর্গ) ও ং (অনুস্বার) | |||||
পার্শ্বিক ব্যঞ্জন | ল | কম্পিত | র |
স্পর্শধ্বনি– ক থেকে ম পঁচিশটি ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণকালে জিহ্বা বাগযন্ত্রের কোন না কোন অংশকে স্পর্শ করে। তাই এদেরকে স্পর্শধ্বনি (Stops ) বলা হয়। এদের আবার পাঁচটি বর্গে বিভাজন করা হয় বলে এদেরকে বর্গীয় ধ্বনিও বলা হয়। প্রত্যেক বর্গের প্রথম ধ্বনি অনুযায়ী বর্গগুলির নামকরণ হয়েছে। যেমন-
ক-বর্গঃ- ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ-বর্গঃ- চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট-বর্গঃ- ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত-বর্গঃ- ত, থ, দ, ধ, ন
প-বর্গঃ- প, ফ, ব, ভ, ম।
উষ্ম ধ্বনি– শ, ষ, স, হ—এদের উচ্চারণকালে শ্বাসবায়ু শিসধ্বনির মতাে উষ্ণতা উৎপাদন করে নির্গত হয়। তাই এদেরকে উষ্মধ্বনি (Spirants) বলা হয়।
অন্তঃস্থ ধ্বনি– অন্তঃস্থ কথার অর্থ হল মধ্যবর্তী। য, র, ল, ব এই চারটি ধ্বনির অবস্থান স্পর্শধ্বনি ও উষ্মধ্বনির মাঝখানে বলে এদেরকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয়।
নাসিক্য ধ্বনি– প্রত্যেক বর্গের পঞ্চম ধ্বনি যথাঃ ঙ, ঞ, ণ, ন, ম – এদের উচ্চারণকালে শ্বাসবায়ু কেবল মুখ দিয়ে না বেরিয়ে আংশিক নাসিকার মধ্য দিয়ে বার হয়। এজন্য এদেরকে অনুনাসিক বা নাসিক্য ধনি (Nasals) ধ্বনি বলা হয়।
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি– প্রাণ কথার অর্থ হল শ্বাসবায়ু। যে সকল ধ্বনি উচ্চারণ করার সময় অধিক শ্বাসবায়ু নির্গত হয় তাদেরকে বলা হয় মহাপ্রাণ (Aspirated) ধ্বনি। প্রত্যেক বর্গের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ধ্বনি (যথাঃ খ, ঘ, ছ, জ, ঝ, ঠ, ঢ, থ, দ, ধ, ফ, ব, ভ) হল মহাপ্রাণ ধ্বনি। যেসকল ধ্বনি উচ্চারণকালে অল্প পরিমাণ শ্বাসবায়ু নির্গত হয় তাদেরকে বলা হয় অল্পপ্রাণ (Unaspirated) ধ্বনি। প্রত্যেক বর্গের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি ( যথাঃ ক, গ, চ, জ, ট, ড, ত, দ, প, ব) হল অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
ঘৃষ্টধ্বনি– চ ও জ ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার সঙ্গে তালুর ঘর্ষণ হয়। এজন্য এদেরকে ঘৃষ্টধ্বনি (Affricate) বলা হয়।
দ্বিব্যঞ্জন ধ্বনি– মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলিতে একটি অল্পপ্রাণ এবং ‘হ্’ ধ্বনি মিশে থাকে। যেমন- ক+হ= খ, গ+হ= ঘ ইত্যাদি। আবার, ঘৃষ্টধ্বনিগুলি উচ্চারণের শুরুতে স্পর্শধ্বনির মতো কিন্তু শেষে উষ্মধ্বনির মতো। যেমন- চ= ক্+শ্, জ্= গ্+শ্। এজন্য ঘৃষ্টধ্বনি এবং মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলিকে দ্বিব্যঞ্জন ধ্বনি বলা হয়।
ঘোষ ধ্বনি ও অঘোষ ধ্বনি– উচ্চারণকালে কয়েকটি ধ্বনিতে স্বরতন্ত্রীর কম্পনজাত সুর মিশে থাকে। একে ঘোষ বলা হয়। ঘোষ কথার অর্থ গাম্ভীর্য। বর্গের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধ্বনি উচ্চারণকালে ঘোষ বা গাম্ভীর্য প্রকাশ পায় না। তাই এদেরকে অঘোষ (Unvoiced) ধ্বনি বলে। ক, খ ; চ, ছ; ট, ঠ; ত, থ; প, ফ অঘােষ ধনি। বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম ধ্বনিতে স্বরতন্ত্রীর কম্পনজাত সুর বা গাম্ভীর্য প্রকাশ পায়। এজন্য এদেরকে ঘোষ (Voiced) ধ্বনি বলা হয়। গ, ঘ, ঙ ; জ, ঝ, ঞ; ড, ঢ, ণ; দ, ধ, ন; ব, ভ, ম হল ঘোষ ধ্বনি।
কম্পিত বর্ণ : ‘র্’ ধ্বনিটি উচ্চারণ করার সময় জিহ্বাগ্র কম্পিত হয়। তাই ‘র্’ ধ্বনিটিকে কম্পিত বা কম্পনজাত ধ্বনি বলে।
পার্শ্বিক ধ্বনি– ‘ল’ ধ্বনিটি উচ্চারণ করার সময় জিভ উল্টে গিয়ে শ্বাসবায়ু জিভের দু’পাশ দিয়ে বের হয়। এজন্য ‘ল’ ধ্বনিটিকে পার্শ্বিক ধ্বনি বলা হয়।
তাড়িত ধ্বনি: ‘ড়’ এবং ‘ঢ়’ ধ্বনিদুটি উচ্চারণের সময় জিহ্বা মূর্ধাকে তাড়িত করে। তাই এই দুটি ধ্বনিকে তাড়িত ধ্বনি বলে।
অযোগবাহ ধ্বনি: অনুস্বার ( ং ) ও বিসর্গ (ঃ)- এই দুটি ধ্বনি অন্য ধ্বনিকে আশ্রয় করে উচ্চারিত হয়, সেজন্য এদের আশ্রয়স্থানভাগী ধ্বনি বলে। অন্য ধ্বনির যোগ ছাড়া এদের ‘বাহ’ বা প্রয়োগ হয় না বলে এই দুটি ধ্বনিকে অযোগবাহ ধ্বনিও বলা হয়।