‘পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা..

অলৌকিক

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- ২- ‘পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি’- পাঞ্জাসাহেবের ওইরূপ নাম কীভাবে হয়? “আশ্চর্য ঘটনাটি” সবিস্তারে লেখাে। ১+৪

উত্তর- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে জানতে পারি যে, হাসান আব্দালের বর্তমান নাম হল পাঞ্জাসাহেব। পাঞ্জা শব্দটির অর্থ হল পাঁচ আঙুল সহ করতল। হাসান আব্দালের একটি পাথরে এখনো গুরু নানকের পাঞ্জার ছাপ লেগে আছে। তাই এই শহরের নাম হয় পাঞ্জাসাহেব।

গল্পের দ্বিতীয় অংশে পরাধীন ভারতে ইংরেজ অত্যাচারের একটি ঘটনা রয়েছে। এখানে সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে।

দুরবর্তী কোনো শহরে ইংরেজ পুলিশ ভারতীয়দের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। অনেকেই মারা গিয়েছিল সেই আক্রমনের ফলে। যারা বেঁচে ছিল তাদেরকে অন্য শহরের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। কয়েদিদের ট্রেনে করে নিয়ে যাবার কথা ছিল। তারা ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত জেনেও সরকারের হুকুম ছিল ট্রেন যেন কোথাও না থামে।

পাঞ্জাসাহেবের মানুষ এই খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল। কারন এই শহরেই গুরুনানক মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন। সেজন্য সেখানকার মানুষ রুটি, পায়েস, লুচি, ডাল নিয়ে স্টেশনে পৌঁছেছিল। সরকারের নির্দেশমতো ট্রেন এল ঝড়ের গতিতে। এদিকে শহরবাসী সকলেই রেললাইনে অবরোধ করেছিল- শুয়ে পড়েছিল লাইনের উপর। কোনো বাধা না মেনে ট্রেন এগিয়ে গিয়েছিল অনেক মানুষকে পিষ্ট করে। তদের রক্তের স্রোত বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের সদিচ্ছার জোর এমনই যে ট্রেনটি লাশগুলি দুমড়ে মুচড়েও আবার পিছু হটেছিল।

অলৌকিক
অলৌকিক গল্পের সেই ঘটনা

এই লোমহর্ষক ঘটনার কথাটি লেখক একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মুখ থেকে শুনেছিলেন। ঘটনাটা এমনই যে লেখকের আশ্চর্য হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এটা ছিল সাধারণ মানুষের অসাধারন বীরত্বের কাহিনি।

error: Content is protected !!