অলৌকিক
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত- কার কোন গল্প শুনে হাসি পেত?
উত্তর- কর্তার সিং দুগ্গাল-এর ‘অলৌকিক’ গল্পে কথক নিজের কথা বলেছেন। গুরুনানকের একটি প্রচলিত কাহিনি শুনে গল্পকথকের হাসি পেত। গল্পটা হল-
একবার গুরুনানক তাঁর শিষ্যদের নিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মর্দানা নামক তাঁর এক শিষ্যের প্রচন্ড জলতেষ্টা পেয়েছিল। মর্দানার অবস্থা এমন হয়েছিল যে জল না পেলে সে মারা যেত। গুরুনানক ধ্যানে বসে দেখলেন যে, পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারির আশ্রমের কুয়োতে জল রয়েছে।
গুরুনানকের কথা মতো মর্দানা বলী কান্ধারির কাছে গিয়ে জল প্রার্থনা করল। কিন্তু মর্দানা নানকের শিষ্য একথা জেনে কান্ধারি তাকে জল দিল না। ফিরে এসে মর্দানা নানককে সব কথা জানাল। গুরু নানকের কথা মতো মর্দানা আরো দুবার বলী কান্ধারির আশ্রমে গিয়েছিল কিন্তু জল সে পায়নি। অবশেষে গুরুনানকের কথা মতো মর্দানা সামনের একটা পাথর সরাতেই জলের ঝরনা বয়ে গেল। এদিকে কান্ধারির কুয়োতে তখন জল নেই। রেগে গিয়ে কান্ধারি একখানা পাথরের চাঙড় নিচে গড়িয়ে দিল। নিচেই ছিলেন সশিষ্য গুরুনানক। পাথরটা দেখে মর্দানা ভয় পেয়ে গিয়েছিল কিন্তু গুরুনানক ‘জয় নিরঙ্কার’ বলে হাত দিয়ে এত বড় পাথরটাকে থামিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই পাথরে নাকি গুরুনানকের হাতের ছাপ রয়ে গেছে।
এখানে ‘গল্পটা’ বলতে ‘গুরুনানকের হাত দিয়ে পাথর আটকানোর’ ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে কারণ লেখকের কাছে গল্পটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না।