বাক্যতত্ত্ব
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “অব্যবহিত উপাদান তত্ত্ব” বলতে কী বোঝ? এই তত্ত্বের প্রধান সীমাবদ্ধতাগুলি উল্লেখ কর।
উত্তর- বাক্যতত্বের আলোচনায় “অব্যবহিত উপাদান” বলতে বোঝায় ঠিক আগের বা পরের স্তরটিকে। আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানীগণ ভাষার বৃহত্তম উপাদান অর্থাৎ বাক্যকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর উপাদানে বিশ্লেষণ করে গেছেন। মার্কিন ভাষাতত্ত্ববিদ লেওনার্দ ব্লুমফিল্ড প্রথম অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণের কথা বলেছিলেন।
![অব্যবহিত উপাদান তত্ত্ব](https://i0.wp.com/banglasir.com/wp-content/uploads/2018/11/IMG_20181110_153401-300x182.jpg?resize=300%2C182)
একসময় প্রচলিত ব্যাকণ দিয়ে বাক্য বিশ্লেষণ করা হত। বর্তমানে প্রচলিত ব্যাকরনের জায়গা নিয়েছে বাক্যতত্ত্ব। একটি বাক্যকে বিশ্লেষণ করার জন্য ভাষাবিজ্ঞানীরা অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ তত্ত্বের সাহায্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু এই পদ্ধতিরও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন-
১) দ্ব্যর্থবোধক বাক্য অর্থাৎ যে বাক্যের দুটি অর্থ বর্তমান, সেইসকল বাক্যকে বিশ্লেষণ করতে অব্যবহিত উপাদান তত্ত্ব কোনো কাজে লাগে না। যেমন- ‘মাছটা কই’- এই বাক্যের দুটি অর্থ। একটা অর্থ- মাছটা কোথায়(কই)? আরেকটা অর্থ- এটা কই মাছ।
২) কোনো বাক্যে একটি শব্দ যখন প্রচলিত অর্থ বাদে অন্য কোনো অর্থ ইঙ্গিত করে তার বিশ্লেষণ করতে অক্ষম অব্যবহিত উপাদান তত্ত্ব। যেমন- ‘শুনেছি ওর অনেক হাত আছে’।
পরের পাতায়