শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়

আমি দেখি

প্রশ্ন- ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়’ – তাৎপর্য লেখ।

অথবা, “সবুজের অনটন ঘটে”- ‘সবুজের অনটন’ ঘটার কারণ কী? এই সমস্যা দূর করার জন্য কবি কী পরামর্শ দিয়েছেন? (৩+২)

উত্তর- শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় সবুজ গাছপালার প্রতি কবির ভালোবাসার কথা ব্যক্ত হয়েছে। শহরের ধূসর কংক্রিটের জঙ্গলে সবুজের কতখানি যে প্রয়োজন সে কথা কবি গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছেন নিজে শহরে থেকেই।

কথায় আছে- ‘God made villages, Man made towns’ অর্থাৎ ঈশ্বর তৈরি করেছেন গ্রামগুলি আর মানুষ তৈরি করেছে শহর। অজস্র বৃক্ষনিধন করেই মানুষ নগরায়ন করেছে। নিজের সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মানুষ নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে সাধের অট্টালিকা, সড়ক, কারখানা প্রভৃতি নির্মান করেছে। অরন্যের সমাধির উপরেই শহরের অবস্থান।  তাই শহরে সবুজ গাছপালার বড়ই অভাব। শহরাঞ্চলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এই কারণে। সবুজের এই অভাবের কারণে শহরের মানুষ ক্লান্ত-বিধ্বস্ত এবং রোগগ্রস্ত। যেটুকু সবুজ শহরে অবশিষ্ট থাকে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই কবি বলেছেন- ‘সবুজের অনটন ঘটে’।

আমি দেখি
শহরে সবুজের অনটন

তবে শুধু সমস্যার কথা বলেই কবি থেমে যাননি, সমাধানের পথও বলেছেন। কবির পরামর্শ- ‘তাই বলি, গাছ তুলে আনো/ বাগানে বসাও…’। শহরের একটুকরো পতিত জমিতে বাগান বানানো হোক- এটাই কবির ইচ্ছা। কবির নিজের প্রয়োজনে নয়, সকলের জন্যই কবি সবুজায়ন ঘটাতে বলেছেন। গাছের সবুজকে চোখে দেখার জন্য, সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং রোগমুক্তির জন্য কবি শহরে সবুজের অনটন দূর করতে বলেছেন।

error: Content is protected !!