আমার বাংলা
মেঘের গায়ে জেলখানা
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “গায়ের লোকে ঠাট্টা করে বলে- চোট্টা সাধুর ছেলে হবে নির্ঘাৎ বিশে ডাকাত” -সাধু কে? ‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ রচনাংশে সাধুর যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো! ১+৪
উত্তর- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ শীর্ষক পরিচ্ছেদে আমরা সাধুচরণের পরিচয় পাই। সাধুচরণ হলো বক্সার জেলখানার একজন সাধারণ কয়েদি।
সাধুচরণের বাড়ি জয়নগরের কাছে কোন এক আজ গাঁয়ে। তার বয়েস বছর পঞ্চাশ, শরীরে তার মাংস নেই। লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিসরে সাধুচরণের বেদনাময় জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন।
অনেক কম বয়সেই সাধুচরণ তার বাবা-মাকে হারিয়েছিল। কোনো নিকটাত্মীয় তার দায়িত্বভার নিতে অস্বীকার করে। সেইজন্য পেটের জ্বালায় ছিঁচকে চুরি শুরু করে সে। হাতেনাতে ধরা পড়ে জেলে যেতে হয়েছে তাকে। জেল থেকে বেরিয়ে পাকা সিঁধেল চোর হয়ে উঠেছিল সাধুচরণ। চুরির জন্য বেশ কয়েকবার তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। একসময় তার সংসার করবার ইচ্ছা হয়। জমানো টাকা থেকে জমি জায়গা কিনে সংসারে মন দেয় সাধুচরণ।
বাকি অংশ পরের পাতায়