বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস|| Bangla Chalacchitrer Itihas
WBCHSE Class 12 (Twelve) Bengali- Bangla Chalacchitrer Itihas Long Question || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস- বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন। প্রশ্নের বিষয়- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক তপন সিনহার অবদান।
প্রশ্ন- বাংলা সিনেমার ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো।
উত্তর- বিশ শতকের পঞ্চাশের দশক ছিল বাংলা সিনেমার প্রকৃত উত্থানপর্ব। এইসময় যে চারজন দিকপাল চলচ্চিত্রনির্মাতা বাংলা সিনেমাকে ভারতে ও ভারতের বাইরে সন্মানজনক পরিচিতি এনে দিয়েছিলেন তাঁদের একজন হলেন তপন সিংহ [১৯২৪-২০০৯]। বাকি তিনজন অবশ্যই সত্যজিত রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেন।
অবদান– তাঁর প্রথম সিনেমাটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সৈনিক’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘অঙ্কুশ’ (১৯৫৪) তেমন সাফল্য পায়নি। পরের বছর ‘উপহার’ও সফল হয় নি। ১৯৫৭ সালে নির্মিত রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে ‘কাবুলিওয়ালা’ তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। এরপরে একে একে ‘লৌহকপাট’ (১৯৫৮), ‘ক্ষণিকের অতিথি’(১৯৫৯), ‘ক্ষুধিত পাষাণ’(১৯৬০), ‘ঝিন্দের বন্দী’ (১৯৬১), ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’(১৯৬২) প্রভৃতি সিনেমাগুলি তাঁকে প্রভূত খ্যাতি এনে দিয়েছিল। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলি হল- ‘নির্জন সৈকত’ ‘জতুগৃহ’, ‘আরোহী’, ‘হাটেবাজারে’, ‘সাগিনা মাহাত’ , ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’ , ‘আতঙ্ক’, ‘হুইলচেয়ার’, ‘অন্তর্ধান’ প্রভৃতি।
অনন্যতা– তপন সিংহের সিনেমা
১. মানুষকে ভালোবাসার সিনেমা,
২. সিনেমার প্রযুক্তি ও সুচারু ভাষা প্রয়োগে অনন্য,
৩. রবীন্দ্রনাথের কথাশিল্প নৈপুণ্যের সহিত রুপায়িত,
৪. শৈল্পিক এবং বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই সফল।
সন্মান ও পুরস্কার– মোট ১৯টি জাতীয় পুরস্কার সহ ২০০৬ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সন্মানিত হয়েছেন।
এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নঃ