শুধুমাত্র গবেষণা আর আবিষ্কারের মধ্যেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। গবেষণার ফলকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উৎসাহ দিতেন।তাঁর তৈরি ‘বেঙ্গল ক্যামিকাল অ্যান্ড ফারমাসিউটিক্যাল’ তেমনি এক প্রতিষ্ঠান ছিল। তাঁরই অর্থসাহায্যে গড়ে উঠেছিল ‘ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি’। এছাড়া সমবায় আইন পাশ হবার পর তিনি সাধারণ মানুষকে নিয়ে ৪১ টি সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন।
এসবের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা প্রবর্তনের একজন প্রবক্তা হিসেবেও তিনি স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। তিনি নিজে একজন সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর আত্মচরিত ‘লাইফ অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স অফ অ্যা বেঙ্গলি কেমিস্ট’ ছাড়াও তিনি রচনা করেছেন ‘বাঙালীর মস্তিষ্ক এবং তাহার অপব্যবহার’, ‘অন্নসমস্যায় বাঙালীর পরাজয় এবং তাহার প্রতিকার’ প্রভৃতি পুস্তক। চিরকুমার এই মানুষটি নিজে অনাড়ম্বর জীবন যাপন করে গেছেন আর মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।