মৃত্যুঞ্জয়ের মনে হয়েছিল যে সে বেঁচে থাকতে লোকটা মারা গেল অথচ কিছু করা গেল না। নিজেকে সে অপরাধী মনে করেছে কারণ দুর্ভিক্ষ জানা সত্ত্বেও সে এত দিন চার বেলা পেট ভরে খেয়েছে এবং ত্রাণকার্যের জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই অথচ মৃত্যুঞ্জয় এতদিন পর্যন্ত কত সময় নষ্ট করেছে।
মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক অবস্থার সবচেয়ে ভাল পরিচয় পাওয়া যায় লেখকের এই উপমাটিতে – ‘শার্শিতে আটকানো মৌমাছির মতো সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারন অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে’।