মৃত্যুঞ্জয় পরের দুঃখে কাতর হয়ে নিজেকে ভুলতে পেরেছে কিন্তু নিখিল পরের জন্যে দরদী হয়েও নিজের প্রয়োজনকে অস্বীকার করেনি। তাই মৃত্যুঞ্জয়ের চোখে নিখিল স্বার্থপর। নিখিল বলেছে এই স্বার্থপরতা যদি দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষজনের মধ্যে থাকত তাহলে না খেয়ে কেউ মরত না। আসলে, বেশিরভাগ দুর্ভিক্ষের মতো পঞ্চাশের মন্বন্তরও ছিল মনুষ্যসৃষ্ট। কালোবাজারিদের দখলে প্রচুর খাবার মজুত ছিল অথচ খাবারের অভাবে দিনদিন হাজার হাজার মানুষ প্রান হারাচ্ছিল। নিখিলের মতে খাদ্য নিয়ে চোরাকারবার বন্ধ হলেই অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানো যেত। এই প্রসঙ্গেই মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে ‘বদ্ধপাগল’ বলে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ।