আমার বাংলা
মেঘের গায়ে জেলখানা
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর”- কোন জেলখানা? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অত্যাচার করা হত? ১+৪=৫
উত্তর- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ শীর্ষক পরিচ্ছেদের আলোচ্য অংশে বক্সার জেলখানার কথা বলা হয়েছে।
লেখক বক্সার জেলের সাধারণ কয়েদিদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরেছেন। সেখানে কয়েদিদের হরেকরকমের কাজ করতে হয়। এরপরও পান থেকে চুন খসলে, অর্থাৎ সামান্যতম ভুল হলে তাদের ওপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার। সামান্যতম অপরাধেই জুটে ডান্ডা অথবা লোহার নাল বাঁধানো বুটের লাঠি। এছাড়াও কারো নামে নালিশ এলে তার ডাক পড়ে কেসটেবিলে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আছে নানারকম শাস্তি। যেমন-
১) ডিগ্রিবন্ধ- ছোট ছোট নির্জন কুঠুরিকে বলা হয় ডিগ্রি। কয়েদিদের সেখানে মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়। দরজার নিচে সরু ফাঁক দিয়ে ঠান্ডা খাবারের থালা ছুড়ে দেওয়া হয়। এ যেন জেলখানার ভেতরে আরেক জেল।
২) মার্কাকাটা- কয়েদিদের প্রতি বছরে তিনমাস করে সাজা মাফ করা হয়। একে বলা হয় মার্কা। জেলের কর্তাদের মন জুগিয়ে চললে মার্কা জোটে নাহলে মার্কা কাটা যায়।
৩) কম্বলধোলাই- সর্বাঙ্গ কম্বল দিয়ে মুড়ে আপাদমস্তক লাঠি পেটার শাস্তিকে বলা হয় কম্বলধোলাই।
চোর-ডাকাত-খুনি নিয়ে জেলের কারবার। তাই কয়েদিদের শায়েস্তা করার সবরকম ব্যবস্থাই সেখানে ছিল।